পোল্ট্রি শিল্পের সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে ফিডের গুণগত মানের উপর

এগ্রিলাইফ প্রতিবেদক: পোল্ট্রি শিল্পের সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে ফিডের গুণগত মানের উপর। তাই ফিড সংরক্ষণে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে খামারিরা তাদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারেন এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি এড়াতে পারেন। ডিম ও মুরগি উৎপাদনে যেখানে সিংভাগ ব্যয় হয় খাবারের পিছনে তাই পোল্ট্রি শিল্পের সাথে জড়িত সকলকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারির কনসালট্যান্ট জনাব এডিএম নূরুল মোস্তফা কায়সার।

১৩তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি মেলার সাফল্য কামনা করে জনাব কায়সার বলেন, পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নে ফিড ফরমূলেশন ও পুষ্টি বিষয়ে গভীর জ্ঞান অপরিহার্য। পোল্ট্রি উৎপাদনের প্রায় ৭০% খরচ ফিডের পিছনে ব্যয় হয় তাই ফিড নিউট্রিশনিস্টদের ফিড ফরমূলেশন সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান অর্জন করা প্রয়োজন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এবারের মেলায় আয়োজিত সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে পোল্ট্রি বিজ্ঞানী ও গবেষকরা ফিড ফরমূলেশন, পুষ্টি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জোরালোভাবে উপস্থাপন করবেন।

তিনি বলেন, "পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নে গবেষণা ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মেলা ও সংশ্লিষ্ট সেমিনারগুলো পোল্ট্রি খাতের সাথে জড়িত সবাইকে নতুন জ্ঞান ও প্রযুক্তি বিনিময়ের একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করবে।"

খাদ্যে ব্যবহৃত কাঁচামালের গুণগত মান নিয়মিত পরীক্ষা করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য ব্যবহার থেকে বিরত থাকাও প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া পোল্ট্রি খাদ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা প্রয়োজন। এ ছাড়া, পোল্ট্রি খামার owners এবং খাদ্য সরবরাহকারীদেরও সঠিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা গেলে পোল্ট্রি শিল্পের গুরুত্ব আরো বেড়ে যাবে বলে আশা করেন জনাব এডিএম নূরুল মোস্তফা কায়সার।