মো. জুলফিকার আলী: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), সিলেট অঞ্চল, সিলেটের আয়োজনে ২০২৪-২৫ কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্প (১ম সংশোধিত) এর আওতায় সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চল (ব্রাক্ষণবাড়িয়া) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সিলেট অঞ্চল, সিলেট সম্মেলন কক্ষে ‘আঞ্চলিক কর্মশাল’ ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কর্মশালায় ডিএই কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আমজাত হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির উপস্থিত ছিলেন- ডিএই সিলেট অঞ্চল সিলেটের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান। তিনি বলেন- সিলেট অঞ্চলে অনাবাদি পতিত জমিতে কন্দাল ফসল উৎপাদনের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। কন্দাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশের চাহিদা মিঠিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন- প্রকল্পটি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে সমাপ্ত হচ্ছে। প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনুযায়ী এলাকা ভিত্তিক ফসলের জমির পরিমাণ ২৫-৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকল্পভূক্ত এলাকায় চলমান প্রকল্পের মাধ্যমে কন্দাল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ব্যহত না হয়, সে বিষয়ে উপস্থিত কর্মকর্তদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
কর্মশালায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন-কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্প, ডিএই খামারবাড়ি ঢাকার প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মোখলেছুর রহমান। তিনি বলেন-কন্দাল ফসলসমূহ ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ ও খনিজ পদার্থসহ অনেক পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ। তাই কন্দাল ফসল দেশের উৎপাদিত খাদ্য ঘাটতি এবং পুষ্টি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রকল্পে অন্তর্ভক্ত কন্দাল ফসলসমূহ হচ্ছে- আলু, মিষ্টি আলু, গাছ আলু বা মেটে আলু, কাসাভা, পানিকচু, লতিরাজি কচু, মুখী কচু ও ওল কচু। তিনি আরো বলেন, উন্নত জাতের মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, বীজ সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ফলে কন্দাল ফসল রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হয়েছে।
গোলাপগঞ্জের উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মাশরেফুল আলম এর সঞ্চলনায় জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক ২০১৯-২০ অর্থ বছর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থ বছর পযর্ন্ত প্রকল্প চলাকালীন সময়ে কন্দাল ফসল উৎপাদনের প্রদর্শণীর সংখ্যা, কৃষক প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য বিষয় ভিত্তিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন আকবরপুর মৌলভীবাজারের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, খাদিমনগর, সিলেটের অধ্যক্ষ কৃষিবিদ মো. আক্তারুজ্জামান।
কর্মশালায় প্রকল্পভুক্ত সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালক ও কুমিল্লা অঞ্চলের ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার উপপরিচালক, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, অতিরিক্ত উপ-পরিচালকবৃন্দ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, বিএডিসি, এআরডিআই, কৃষি বিপণন, বিনা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র, হর্টিকালচার সেন্টার ও চলমান প্রকল্পের সিনিয়র মনিটরিং কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রদর্শণীভূক্ত কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।