সুলভ মূল্যে প্রাণিজ প্রোটিন পেতে হলে প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারীদের টিকিয়ে রাখতে হবে

এগ্রিলাইফ প্রতিনিধি: দেশের পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশে প্রান্তিক খামারীদের টিকিয়ে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রান্তিক খামারীদের হাত ধরেই দেশের পোল্ট্রি শিল্পের ভিত্তি গড়ে উঠেছে। ভোক্তাদের জন্য প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারীদের টিকিয়ে রাখতে হবে। তাই, সরকারকে প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারীদের কথা সর্বাগ্রে বিবেচনা করা উচিত। প্রান্তিক খামারীরা বর্তমান প্রতিকূল পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সরকারি পর্যায়ে ভর্তুকি এবং নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর মাধ্যমে তাদের পোল্ট্রি শিল্পমুখী করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুবাস চন্দ্র দাস ১৩তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি মেলার সাফল্য কামনা করে বলেন, "আমাদের ছোট-বড় সকল খামারীদের কথা চিন্তা করেই পোল্ট্রি শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।" তিনি আরও বলেন, "প্রান্তিক খামারীদের পাশে দাঁড়ানো ছাড়া এই শিল্পের টেকসই অগ্রগতি সম্ভব নয়।"

উল্লেখ্য, "Sustainable Poultry for Emerging Bangladesh" শ্লোগানকে সামনে রেখে চলতি মাসের ২০, ২১ এবং ২২ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী ১৩তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো পূর্বাচলে অবস্থিত "আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা" প্রাঙ্গণে বিশাল পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে। মেলাটি যৌথভাবে আয়োজন করছে ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)। এই মেলায় দেশি-বিদেশি পোল্ট্রি শিল্পের উদ্যোক্তা, বিজ্ঞানী, পুষ্টি বিশেষজ্ঞ এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসমূহ অংশ নেবে।

এই আয়োজনের মাধ্যমে পোল্ট্রি শিল্পের নতুন সম্ভাবনা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনগুলোর সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ মিলবে। প্রান্তিক খামারীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করেন বিশিষ্ট পোল্ট্রি বিজ্ঞানী ও গবেষক ড. সুবাস চন্দ্র দাস।