সমীরণ বিশ্বাস: তরমুজের উল্লেখযোগ্য রোগগুলির মধ্যে একটি হল ডাউনি মিলডিউ (DM) ছত্রাকের মতো oomycete (Pseudoperonospora cubensis) দ্বারা সৃষ্ট । DM-এর লক্ষণগুলি পাতায় পাওয়া যায় যেখানে ক্ষতগুলি ক্লোরোটিক (হলুদ) অঞ্চল হিসাবে শুরু হয় যা ক্লোরোটিক হ্যালো দ্বারা বেষ্টিত নেক্রোটিক (বাদামী/কালো) এলাকায় পরিণত হয়। কৃষক ভাইদের জন্য বলছি; এখনই আপনার তরমুজ ক্ষেতের প্রতি সতর্ক হোন। নিয়মিত খেত পরিদর্শন এবং পর্যবেক্ষণ করুন । তরমুজ ফসলের পাতায় কোনোরকম দাগ পরিলক্ষিত হওয়ার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অফিসে যোগাযোগ করে।
লক্ষণঃ
- বয়স্ক পাতায় এ রোগ প্রথম দেখা যায়।
- আক্রান্ত পাতার গায়ে সাদা বা হলদে থেকে বাদামী রংগের তালির মত দাগ দেখা যায়।
- ধীরে ধীরে অন্যান্য পাতায় ছড়িয়ে পড়ে ।
সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনাঃ
- সম্ভব হলে গাছের আক্রান্ত অংশ সংগ্রহ করে ধ্বংস করা ।
- ক্ষেত পরিস্কার রাখুন এবং পানি নিস্কাষনের ভাল ব্যবস্থা রাখুন।
- আক্রান্ত ক্ষেত থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন না।
- এলোপাতারি বালাইনাশক ব্যবহার করে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করবেন না।
- প্রথম বার লক্ষণ দেখা যেতেই ব্যবস্থা নিন।
- সুষম সার ব্যবহার করুন।
- রোগ প্রতিরোধী জাত যেমন: বারি উদ্ভাবিত/ অন্যান্য উন্নত জাতের চাষ করুন।
- বিকল্প পোষক দমন করুন।
- আগাছা পরিস্কার রাখুন।
রাসায়নিক দমন ব্যবস্থাপনাঃ
১. এগবেন (কাবেন্ডাজিম ) প্রতিলিটারে ১মিলি এবং আরলিন প্রতিলিটারে ১ গ্রাম ১০ দিন পরপর স্প্রে করলে বা
২. মনা (এজোক্সিস্ট্রবিন+ সিপ্রোকোনাজল গ্রুপের) - নিয়মমত ছত্রকনাশক ১০ দিন পরপর স্প্রে করলে দাগ চলে যাবে।
৩. স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই ফল খাবেন না বা বিক্রি করবেন না।
লেখক:কৃষি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ , ঢাকা।