নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): মুগ সম্ভাবনাময় ডালফসল। এর মোট উৎপাদনের প্রায় ৭০ ভাগই দক্ষিণাঞ্চলে চাষ হয়। মুগ অন্য দানাফসলের ন্যায় একসাথে পাকে না। কয়েকবার শস্য সংগ্রহ করতে হয়। মুগে যত্ন-আত্তি কম হলেও ফলনে বড় ধরনের প্রভাব পড়ে না। কিন্তু জলাবদ্ধতা একদম সহ্য করতে পারে না। ভারী বৃষ্টি হলে পুরো ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে বীজ হিসেবে বিনামুগ-৮ ব্যবহার করলে প্রথমবার প্রায় শতকরা ভাগ ফসল সংগ্রহ যায়। এ ধরনের সুবিধা অন্য জাতে নেই। তাই এই জাতের মুগ আবাদে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। আজ পটুয়াখালীর দুমকিতে বিনামুগ-৮’র মাঠ দিবসে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ এসসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মাহবুবুল আলম তরফদার এবং উপপ্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন, সিমিট বাংলাদেশের বরিশাল অঞ্চলের হাব ম্যানেজার হীরা লাল নাথ, উপজেলা কৃষি অফিসার মো. ইমরান হোসেন, বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার প্রমুখ।
বিনার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন জানান, বিনা উপকেন্দ্র এবার বরিশাল অঞ্চলের জন্য প্রদর্শনী এবং বীজ সহায়তা হিসেবে কৃষকের মাঝে বিনা মুগ-৮’র ২.৬ টন বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করেছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর দক্ষিণাঞ্চলের ২,০০,৫০৩ হেক্টর জমির মধ্যে বরিশালে মুগডালের উৎপাদন হয়েছে ২৪,৬০০ হেক্টর, পিরোজপুরে ৭,১২৩ হেক্টর, ঝালকাঠিতে ২,৬২৭ হেক্টর, পটুয়াখালীতে ৮৮,৮৯১ হেক্টর, বরগুনায় ৪৮,৬০৭ হেক্টর এবং ভোলায় ২৮,৬৫৫ হেক্টর।