রাজধানী প্রতিবেদক: বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প আজ যে অবস্থানে পৌঁছেছে, তার পেছনে রয়েছে অনেক মানুষের নিরলস পরিশ্রম ও অবদান। তাঁর মধ্যে ডা. এসএমএফবি আবদুস সবুর একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। বিগত ৪০ বছর ধরে তিনি একজন নিষ্ঠাবান ও অভিজ্ঞ ভেটেরিনারিয়ান হিসেবে দেশের পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। বাংলাদেশে ১৯৯৯ সাল থেকে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি মেলা থেকে আজ অবধি তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান দ্বারা এই শিল্পকে আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করে যাচ্ছেন।
আসন্ন ১৩ তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি মেলা নিয়ে তিনি কিছু কথা বলেছেন এ প্রতিবেদকের কাছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল তবে যেসব চ্যালেঞ্জগুলি সবসময় আমরা বলে আসছি তা সমাধানের জন্য বাস্তবভিত্তিক কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে এই শিল্পের আরও উন্নয়ন সম্ভব। আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি মেলা এই শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন ডা. সবুর।
১৯৯৯ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি মেলা আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়। এই মেলা পোল্ট্রি শিল্পের সাথে জড়িত উদ্যোক্তা, কৃষক, গবেষক, এবং নীতিনির্ধারকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। এই মেলায় দেশি-বিদেশি শতাধিক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে এবং হাজার হাজার দর্শক মেলায় আসেন।
ডা. সবুর একজন দক্ষ, নিষ্ঠাবান ও দূরদর্শিতাসম্পন্ন, দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষিত সফল ভেটেরিনারিয়ান। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করার পর পোল্ট্রি শিল্পে কাজ শুরু করেন। মাল্টিন্যাশনাল ঔষধ কোম্পানী ফাইজারে তাঁর কর্মজীবনের শুরু থেকেই তিনি পোল্ট্রি খামার স্থাপন, রোগ প্রতিরোধ, বায়োসিকিউরিটি ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে এবং পোল্ট্রি ফারমিং সিস্টেম আধুনিকায়ণে কাজ করে আসছেন। ডা. সবুর ওয়াপসা-বাংলাদেশ, আহকাব, দ্য ভেট এক্সিকিউটিভ, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি এসোসিয়েশন এবং এফবিসিসিআই এর জিবি মেম্বার হিসাবে পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে নিজের অবদান রেখে চলেছেন।