ক্যাম্পাস ডেস্ক: শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স (বিএএস) কর্তৃক ‘প্যাথোটাইপ প্রোফাইলিং, পিরামিডিং অব মাল্টিপল জিন্স অব ডিজিজ রেজিস্ট্যান্স অ্যান্ড পটেনশিয়াল ইউজ অব বায়ো-সিনথেসাইজড ন্যানোপার্টিকেলস ইন রাইস ডিজিজেস ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক একাডেমি লেকচার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার ০৫ মে, ২০২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক ভবনের চতুর্থ তলার কনফারেন্স রুমে সকাল সোয়া ১১টায় এটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স’র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. জহুরুল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেকৃবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল লতিফ। শেকৃবি’র কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মীর্জা হাসানুজ্জামানের সঞ্চালনায় ও বিএএস’র ফেলো ড. এম. ইদ্রিস আলীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্পিকার হিসেবে ছিলেন সুপ্রীম রাইস রিসার্চ সেন্টারের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ড. মোঃ আব্দুল লতিফ। অনুষ্ঠানে ড. মোঃ আব্দুল লতিফ ধানের ব্যাক্টেরিয়াল ব্লাইট , ব্লাস্ট ও টুংরো রোগ ব্যবস্থাপনায় ন্যানো টেকনোলজি, প্যাথোটাইপ প্রোফাইলিং ও জিন পিরামিডিং পদ্ধতি প্রয়োগের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. জহুরুল করিম বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞান ভিত্তিক লেকচার, আলোচনা বৃদ্ধি করতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে গবেষণায় আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে। এ সময় তিনি দেশের নানা প্রান্তের লোকাল জেনোটাইপ সংরক্ষণ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শেকৃবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন, ফসলের রোগ-বালাইয়ের কার্যকর ও টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য দেশের ব্রিডার, প্যাথলজিস্ট ও এন্টোমোলজিস্টদের কাজের সমন্বয় প্রয়োজন। এই তিন শ্রেণির কৃষিবিজ্ঞানীদের সমন্বিত কার্যক্রম ব্যতীত কোন ফসলের রোগ-বালাইয়ের ফলপ্রসূ ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। এ সময় তিনি কৃষিতে ন্যানো টেকনোলজি প্রয়োগের বিষয়ে বলেন, ন্যানো পার্টিকেল ব্যবহারের ফলে মানুষের শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কিনা এটা আগে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, এক সময় বলা হতো বোকার ফসল পোকায় খায়। এটা বলে মূলত কৃষকদেরকে কীটনাশক ব্যবহারের প্রতি উৎসাহিত করা হতো। কিন্তু এখন কীটনাশক ব্যবহারে নিরূৎসাহিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ’র ডিন অধ্যাপক ড. এম. সালাউদ্দিন মাহমুদ চৌধুরী, সাউরেস’র পরিচালক অধ্যাপক ড. এফ. এম. আমিনুজ্জামান, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ ছরোয়ার হোসেন, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ রজ্জব আলী, ইনস্টিটিউট অব সিড টেকনোলজি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজনীন সুলতানা, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল’র অতিরিক্তি পরিচালক অধ্যাপক মোঃ মাহবুবুল আলম, পিএচ.ডি, উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও ল্যান্ডস্কেপিং এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ হুমায়ুন কবির, বহিরাঙ্গন কার্যক্রম বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জামশেদ আলম, এগ্রিকালচারাল বোটানি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুব আলমসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত বিজ্ঞানীগণ।