আধুনিকতার ছোঁয়ায় বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পের উত্তরণ

রাজধানী প্রতিবেদক: বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প দিন দিন আধুনিক প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে। গত কয়েক দশকে এই শিল্পের অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পোল্ট্রি শিল্প এখন কেবল মুরগির মাংস ও ডিম উৎপাদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বরং এটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পুষ্টি সরবরাহ এবং গ্রামীণ অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো উপলক্ষে এগ্রিলাইফকে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে এমন অনুভূতি তুলে ধরলেন প্লানেট গ্রুপের পরিচালক জনাব মোসলেহ্ উদ্দিন।

বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল ছোট পরিসরে, সাধারণত বাড়ির আঙিনায় মুরগি পালনের মাধ্যমে। তখন এই শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল না বললেই চলে। মুরগির খাদ্য, চিকিৎসা, ও ব্যবস্থাপনা সবই ছিল প্রথাগত পদ্ধতিতে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এই শিল্পে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগতে শুরু করে।

এই আধুনিকতার জন্য যেসব প্রযুক্তি এবং পণ্যগুলো প্রয়োজন, তা একই ছাদের নিচে পাওয়া যাবে, এই পোল্ট্রি শো তে। একটা সময় ছিল আমরা খোঁজ করতাম কোথায় আধুনিক পোল্ট্রি প্রযুক্তিগুলো পাওয়া যায়। এ জন্য আমরা বিভিন্ন সময়ে থাইল্যান্ড, জার্মানি, আমেরিকা, বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণ করতাম। এখন সেই ধরনের সমকক্ষ মেলা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার আয়োজক ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সাইন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখা।

আমরা যাঁরা তরুণ উদ্যোক্তা।তাঁরা এই বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে কাজ করি, উৎসাহিত হয় এবং অন্যদিকে উৎসাহিত করতে পারি। যদিও আমাদের শিল্পের মধ্যে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রত্যেকটি শিল্পে চ্যালেঞ্জ থাকে। বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ-এর পরিমাণটা একটু বেশিই। তবে লাভজনক ব্যবসায়িক সুযোগ সৃষ্টিতে এই ইভেন্টটি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

তিনি ১৩ তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি মেলার সফলতা কামনা করেন। মেলায় তারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন। মেলায় তাদের স্টল - Hall B স্টল - ১০৯-১১৭ মেলায় তাদের প্রযুক্তি, পণ্য ও সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সকলকে আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জনাব মোসলেহ্ উদ্দিন।