এগ্রিলাইফ প্রতিনিধি: পোল্ট্রি শিল্প বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে এই শিল্পের দ্রুত সম্প্রসারণের সাথে সাথে পরিবেশগত চ্যালেঞ্জও বৃদ্ধি পাচ্ছে। পোল্ট্রি ফার্ম থেকে নির্গত বর্জ্য, গ্যাস এবং শব্দদূষণ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই সমস্যা সমাধানে কন্ট্রোল হাউজ বা নিয়ন্ত্রিত পরিবেশের পোল্ট্রি ফার্মিং একটি কার্যকর সমাধান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আসন্ন পোল্ট্রি মেলায় এসব প্রযুক্তি গুলির উপর উদ্যোক্তাদের বেশি বেশি জোর দেয়া প্রয়োজন।
"Sustainable Poultry for Emerging Bangladesh" শ্লোগানকে সামনে রেখে চলতি মাসের ২০, ২১ এবং ২২ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী ১৩তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো পূর্বাচলে অবস্থিত "আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা" প্রাঙ্গণে শুরু হতে যাচ্ছে। মেলার সাফল্য কামনা করে আমান পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারি লি:-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কৃষিবিদ আব্দুল আজিজ বলেন, এই মেলায় দেশি-বিদেশি পোল্ট্রি শিল্পের উদ্যোক্তা, বিজ্ঞানী, পুষ্টি বিশেষজ্ঞ এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসমূহ অংশ নেবে।
তিনি বলেন, পোল্ট্রি শিল্পে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বিপ্লব ঘটাচ্ছে। কন্ট্রোল হাউজ প্রযুক্তির মাধ্যমে এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে মুরগির খামার পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে, যা উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি খামারিদের লাভও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ু চলাচল এবং আলোর মাত্রা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যা মুরগির বৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে।
কৃষিবিদ আজিজ বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশে, যেখানে পোল্ট্রি শিল্প কৃষি অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, সেখানে কন্ট্রোল হাউজ প্রযুক্তি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে খামারিরা রোগবালাই কমিয়ে আনতে পারছেন এবং মুরগির ডিম ও মাংসের উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম হচ্ছেন।
বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পের টেকসই উন্নয়নে কন্ট্রোল হাউজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন দীর্ঘ দিনের পোল্ট্রি শিল্পের এ সৈনিক।
১৩ তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি মেলায় তারা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন। মেলায় তাদের স্টল নম্বর (হল# এ, স্টল# ২৯৬-৩০১)। মেলায় তাদের ফিড এন্ড চিকস্ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তিনি সকলকে আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ।