ফিড উৎপাদনে উন্নত মানের কাঁচামালের পাশাপাশি ল্যাব টেস্টিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

এগ্রিলাইফ প্রতিবেদক: ফিড শিল্পে গুণগত মান নিশ্চিত করতে উন্নতমানের কাঁচামালের ব্যবহার যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সঠিক ল্যাব টেস্টিংও অপরিহার্য। বর্তমান সময়ে পোল্ট্রি গবাদিপশু ও ফিসের খাদ্যে অপুষ্টি ও ভেজাল প্রতিরোধে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের গুরুত্ব বেড়েছে বহুগুণ। সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করা হলে ফিডের গুণগত মান কমে যেতে পারে, যা প্রাণীর স্বাস্থ্য ও উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রোটিন, আমিষ, খনিজ ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ নির্ধারণের জন্য ল্যাব টেস্টিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আসন্ন আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি মেলায় আয়োজকদের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিমিটেডর এজিএম একরাম বাবু তার অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, "এক সময় চোখে দেখে, হাতে পরখ করে বা মুখে টেস্ট করে কাঁচামাল ক্রয় করতে হতো। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে এখন আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের হাতের নাগালে চলে এসেছে, যা আমাদের উন্নত মানের ফিড উৎপাদনে সহায়তা করছে।"

তিনি আরও উল্লেখ করেন, কোয়ালিটি ইন্সপেকশনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে অত্যন্ত দক্ষ হতে হবে, কারণ তার সিদ্ধান্তই পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলোকে নির্ধারণ করে। ফিড উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন উন্নত প্রযুক্তির ল্যাব স্থাপন করছে, যেখানে প্রতিটি কাঁচামাল ও প্রস্তুত ফিডের গুণগত মান যাচাই করা হয়। এতে করে খামারিরা আরও বেশি নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারছেন।

একরাম বাবু বলেন, "ফিড উৎপাদনের কাঁচামাল সংক্রান্ত বিষয়গুলো মেলায় বেশি বেশি উপস্থাপিত হওয়া প্রয়োজন। আমাদের মতো দেশে খামারিদের জন্য সুলভ মূল্যে কীভাবে উন্নত মানের ফিড উৎপাদন করা যায়, সে বিষয়ে পুষ্টিবিদদের গভীরভাবে ভাবা উচিত।"

তিনি আশা প্রকাশ করেন, পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নে পুষ্টিবিদরা তাদের গবেষণা ও পরামর্শ দিয়ে এগিয়ে আসবেন, যা দেশের পোল্ট্রি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করবে। টেকসই ও লাভজনক ফিড উৎপাদনের জন্য কাঁচামালের উৎস, সংরক্ষণ পদ্ধতি এবং ল্যাব টেস্টিংয়ের ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তাহলেই প্রাণিসম্পদ খাত আরও গতিশীল হবে এবং নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।