বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পের পথিকৃৎ কৃষিবিদ রফিকুল হক

এগ্রিলাইফ প্রতিবেদক: বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশে ১৯৮০ সালের দশক ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময় দেশের মানুষ ধীরে ধীরে বাণিজ্যিকভাবে পোল্ট্রি খামারের ধারণা সম্পর্কে সচেতন হতে শুরু করে। তবে তখনো বাণিজ্যিকভাবে মুরগি পালনের কথা কেউ কল্পনাও করতে পারত না। এই শিল্পের সূচনালগ্নে যে কজন ব্যক্তি অগ্রপথিকের ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের মধ্যে কৃষিবিদ রফিকুল হক অন্যতম।

রফিকুল হক ১৯৮০ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি পোল্ট্রি ফার্ম বিমান পোল্ট্রি কমপ্লেক্স-এ পোল্ট্রি নিউট্রিশনিষ্ট হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে প্রায় চৌদ্দ বছর সেখানে চাকরি করার পর তিনি উপলব্ধি করেন যে, পোল্ট্রি শিল্পের এক বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের বিভিন্ন শিল্প উদ্যোক্তাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ গড়ে ওঠে, যারা বাণিজ্যিকভাবে পোল্ট্রি খামার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছিলেন। চাকরি ছেড়ে তিনি স্বাধীন কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং পোল্ট্রি শিল্পে তার ব্যবসায়িক যাত্রা শুরু হয়।

আসন্ন পোল্ট্রি মেলা উপলক্ষে এগ্রি লাইফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। তিনি জানান, সেই সময় উন্নত জাতের মুরগি পালন করার কথা কেউ ভাবেনি, তবে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে হাইব্রিড জাতের মুরগি পালন করা জরুরি। তার প্রচেষ্টার ফলে আফতাব, প্যারাগন, নারিশের মতো বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান এই শিল্পের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে পোল্ট্রি শিল্পও দিন দিন আধুনিক হয়ে উঠছে। তবে এই শিল্পের যারা শুরু থেকে নিরলস পরিশ্রম করেছেন, তারা সবসময় স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আধুনিক পোল্ট্রি শিল্পের কথা বললে জনাব রফিকুল হকের নাম অবশ্যই সম্মানের সঙ্গে উচ্চারিত হবে।